শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে মমতা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তারই স্বামী ও পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় সোমবার ঈদের দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিহতের ভাই আব্দুল খালেক বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী ও ননদকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চেকবেওয়া গ্রামের ওসমান গণি (৩৩) ও তার বোন মমতা বেগম (২৮)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আড়াই বছর আগে একই গ্রামের ওসমান গণির সঙ্গে মমতা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তার বয়স সাত মাস। সম্প্রতি ওসমান তার শ্বশুরের কাছে যৌতুক হিসেবে একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য টাকার দাবি করে বসে।
টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মমতা খাতুনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামী ও পরিবারের লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের আগের রাত রবিবার রাতে দাবিকৃত যৌতুকের নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মমতা খাতুনের গলায় প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা এ প্রসঙ্গে বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই গ্রেপ্তার এড়াতে ওই দুইজন সোমবার রাতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।